আল্লাহ রব্বল আলামীন আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন একনিষ্ঠভাবে তাঁরই দাসত্ব করার জন্য। তাই তাঁর পক্ষ থেকেই আমাদের জীবনকে পরিচালনার নীতিমালা দিয়েছেন। কিছু নীতিমালা অভ্যাসগত; যা আমাদের মধ্যে ইন্সটল করা থাকে, আর কিছু নীতিমালা পৃথিবীতে আসার পরে পৌছে দেন। দ্বিতীয় বিষয়টি ঘটে তাঁরই নির্বাচিত বার্তাবাহক বান্দা অর্থাৎ নাবী ও রাসূলদের মাধ্যমে। তাঁদের ধারাবাহিকতার সর্বশেষ। হলেন আমাদের প্রিয় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তার আনীত নীতিমালা অনুযায়ী চলার মধ্যেই রয়েছে আমাদের জন্য একমাত্র কল্যাণ।
মহান আল্লাহ ঘােষণা করেন:
وما آتاكم الرسول فخذوه وما نهاكم عنه فانتهوا
অর্থাৎ রাসূল তােমাদের যা দেন তাগ্রহণ করাে এবং যা নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাকো। এছাড়াও নাবী সা. বলেন: * অর্থাৎ যে ব্যক্তি আমাদের এই দ্বীনে নতুনভাবে কিছু। প্রবেশ করালাে, যা এর অন্তর্ভুক্ত নয়, তা পরিত্যাজ্য। অথচ নাবী সা. পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়ার পর এ পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি শতাব্দীতে বিভিন্ন প্রথা, কথা, মত। ও কাজকে দ্বীনের নামে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ রসূল সা. এর বাণী থেকেই যার নাম বিদ’আত। আলােচ্য বইটিতে বিদ’আতের বিভিন্ন দিক আলােচিত হয়েছে কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর দলীলসহ। সাথে। সাথে যারা এই ঘৃণ্য অপরাধে জড়িত, তাদের ভয়াবহ পরিণতি বর্ণনা করা হয়েছে। এরপর লেখক আমাদের সালাফদের নামে বিদ’আতী বানােয়াট গল্পের জবাব দিয়েছেন অহীর দলীলের ভিত্তিতে। সবশেষে সমাজে প্রচলিত বিদ’আতের সংক্ষিপ্ত তালিকা উল্লেখ করে পরিশিষ্ট দিয়ে ইতি টেনেছেন।