ব্লাক ম্যাজিক অথবা কালো জাদুর চর্চা আমাদের সমাজে ব্যাপক। এটি এই যুগের সমস্যা বললে মারাত্মক ভুল হবে। খুব প্রাচীনকাল থেকেই এই জাদুর চর্চা, এর প্রয়োগ এবং এর মাধ্যমে মানুষের অনিষ্ট করে চলছে কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ। তারা সামান্য লাভের জন্য নিজের ঈমানকে বিক্রি করছে । সাধারণত তারা জ্বীন শয়তানকে বশ করে আল্লাহর সাথে নাফরমানি মূলক কাজ করিয়ে স্বার্থসিদ্ধি করে থাকে।
“ঝাড়ফুঁক ও যাদুর চিকিৎসা” বইটি “আস সারিমুল বিতার ফিত তাসাদ্দি লিস সিহরাতু ওয়াল আশরার” গ্রন্থের অনুবাদ, এটি অনুবাদ করেছেন শাইখ মতীউর রহমান মাদানী। বইটি মসজিদে নববীর ফাযিলাতুশ শাইখ ওয়াহিদ ইবনে আব্দুস সালাম বালী কর্তৃক লিখিত। জাদুটোনা সম্পর্কে খুঁটিনাটি সব বিষয়েই আলোচনা করা হয়েছে বইটিতে।
কুর’আন ও হাদীসের আলোকে জাদুর সংজ্ঞা, উৎস, জাদুর অস্তিত্ব,জ্বীন শয়তানের অস্তিত্ব ইত্যাদি বিষয়গুলো বইয়ের প্রথম দিকে আলোচনা করা হয়েছে। পরবর্তী অধ্যায় গুলোতে জাদুর প্রকারভেদ, কোন ধরনের জাদু মানুষ মানুষের উপর করে থাকে, কোন সমস্ত লক্ষণ দেখলে বুঝা যাবে মানুষটি জাদু অথবা জ্বীনের দ্বারা প্রভাবিত এবং কুর’আন এবং হাদীসের আলোকে এই সমস্যাগুলোর প্রতিকার কিভাবে তা খুব সুন্দর ভাবে আলোকপাত করা হয়েছে বইটিতে। যেনো সাধারণ মানুষও নিজেদের ঝাড়ফুঁক করতে পারে। বইয়ের ইন্টারেস্টিং বিষয়টি হচ্ছে শাইখ তার নিজের জীবনে ঘটিত কিছু রোগীর চিকিৎসার বিবরণ দিয়েছেন, যা নিজেদেরকে এই ক্ষেত্রে প্র্যাকটিক্যালি হতে সাহায্য করবে।
মানুষ সুন্নাহ পদ্ধতি না জানার কারণে প্রায়ই কুফুরি-কালামের দিকে ঝু্ঁকে যায় এবং পতিত হয় শিরকের মত অন্ধকারে, যা আমার বাস্তব জীবনে দেখা। আল্লাহ আমাদের হেফাযত করুন। যারা কুর’আন এবং হাদীসের আলোকে জাদুটোনার চিকিৎসা করতে চান তাদের জন্য একটি আদর্শ বই এটি।