আমি জানি না আমার এ পৃষ্ঠাগুলাে কি ভােরের আলাে দেখতে পাবে, নাকি খাতার মাঝেই থেকে যাবে; আমি এর নেকী আর বরকত থেকে বঞ্চিত হবাে?
বছরের পর বছর চলে গেছে, আমি বইয়ের পৃষ্ঠা ফিরিয়েছি। ভেবেছি আর প্রশ্ন করেছি। পড়েছি আর লিখেছি। সংযােজন করেছি আবার বিয়ােজন করেছি। এরপর গেল কয়েকটা শুষ্ক বছর। সে বছরগুলােতে আমার ভাবনা-চিন্তা কলম থেকে দূরে ছিল, যে কলম দিয়ে চিন্তা লেখা হয়, গঠন করা হয় এবং বাক্য সাজানাে হয়।
সে সময়টা আমি প্রতিদিন কেবল নিজের খাতায় যা কিছু লেখা আছে সেগুলাে পড়ে দেখতাম। হয়তাে মহাজ্ঞানী ও উন্মুক্তকারী আল্লাহ আমার হৃদয়কে উন্মুক্ত করে দিবেন, যাতে আমার ভেতরে সুপ্ত অনুভূতি ও চিন্তাকে আমি প্রকাশ করতে পারি । আমার কলমকে খাপ থেকে বের করে চিন্তার গভীরে সঞ্চিত মুক্ত চিন্তাকে লিখে
ফেলতে পারি।
এরপর আল্লাহর ইচ্ছায় আমার ভাবনাগুলাে নতুন করে জমা হলাে। আবারও কলমের কালি প্রবাহিত হলাে পৃষ্ঠার বুকে। পাঠক! আপনি যেন এই লেখাগুলাে পড়তে পারেন।
এই বার্তাটা ফুলের মালায় গাঁথা। এর শিরােনামে আছে ভালােবাসা আর ভেতরে আছে সত্যান্বেষণ।
আজ অবধি দীর্ঘকাল যাবৎ সত্য পক্ষপাতিত্ব ও দাবি করার মাঝেই সীমিত হয়ে গেছে।
সবাই দাবি করে সে লায়লার প্রেমিক, কিন্তু লায়লা দেয় না স্বীকৃতি।
আমি জানি আমার এই বই কিছু মানুষকে খুশি করবে, কিছু মানুষকে করবে নারাজ। এটা সত্যের মতােই, যেটা নিরপেক্ষ গবেষকদের খুশি করে আর পক্ষপাতিত্ব করে এমন সব গবেষকদের অখুশি করে।
কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, যে স্বাধীন বক্তব্য কৃত্রিমতা জানে না, সেটা অনন্তকাল জ্বলতে থাকা মােমের মতাে। যদি এজন্য আমার ভাগ্যে শত্রুতা লেখা থাকে, তাহলে হক কথা বলেছে এমন কেউ এ যুগে কবে রেহাই পেল, যেখানে অতীতেই পায়নি!