অরুর বয়স তখন কত হবে? বড়োজোর চৌদ্দ। উদাসীনতায় ভর্তি মস্তিষ্ক। শ্যাওলা পড়া ছাদের প্রান্তরে নূপুর পরিহিত পদচারণ ফেলে বিচরণ চালাত। ঘুরেফিরে বেড়াত ঘরদুয়ার, বাগান, মাঠ-ঘাট। হরিণী, মায়াবী নয়নে পিটপিট করে অগোচরে চাইত। পাতলা ওষ্ঠদ্বয়ের ফাঁকে সাদা দাঁতগুলো চিকচিক করত হাসির তালে। দুলত প্রফুল্লবদন। কোমর সমান কালো কেশে দু-বিনুনি গেঁথে থাকত।
পুতুলের মতো দেখতে মেয়েটা কী আর বুঝত তখন? কিচ্ছুটি নয়। চঞ্চল, নির্বোধ নাবালিকা অজান্তে হৃদয় দিয়ে বসল। যাকে দিল সে-মানব তার থেকে গুনে গুনে দশটি বছরের বড়ো। সম্পূর্ণ একটি জেনারেশনের গ্যাপ তাদের মধ্যে রয়ে গেল। বোঝ যখন হলো তখন তার কিশোরী হৃদয়ে মানবটি পাকাপোক্ত বসবাস শুরু করেছে। তাকে হৃদয় থেকে তাড়ানোর কোনো পথ জানা নেই। তাই যত্নসহকারে আগলে রাখতে শুরু করল একান্তচারী প্রণয়কুমারকে। কখনো কি বুঝবে প্রণয়কুমার অরুর কিশোরী মনের আকুলতা? আঁচ করতে কি পারবে, কীভাবে সে তার হৃদয় স্বার্থপরের মতো কেড়ে নিয়েছে? জানতে কি কখনো পাবে এই প্রেয়সীর হৃদয় তার জন্য অত্যধিক ব্যাকুল?
Title |
প্রেয়সীর হৃদয় ব্যাকুল |
Author |
নাবিলা ইষ্ক |
Publisher |
নবকথন |
Edition |
New edition |
Number of Pages |
256 |
Country |
Bangladesh |
Language |
Bengali |
Weight |
600 Gram |
Dimension |
21cm x 15cm x 2cm |