তাওহীদ ও শিষ্টাচার সন্তান-সন্ততি মহান আল্লাহ প্রদত্ত বিশেষ নেয়ামত। পিতা-মাতার জন্য তারা অমূল্য রত্ন,নয়নমণি এবং পার্থিব ও পরকালীন প্রশান্তির বড় মাধ্যম। তাদের সুন্দর প্রতিপালন এবং সুশিক্ষা দান প্রত্যেক পিতা-মাতার মৌলিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। আর এটাও সত্য যে তাদের উন্নতি,অগ্রগতি এবং সুনাম বাবা-মায়ের সুনাম। তাই বর্তমান প্রতিযোগিতার যুগে প্রায় প্রত্যেক অভিভাবকই তাদের উপার্জন ও শ্রমের সিংহ ভাগই নিজ সন্তানের শিক্ষা ও লালন পালনের উদ্দেশ্যে ব্যয় করে থাকে। তবে একজন সচেতন মুসলিম অভিভাবকের কর্তব্য এখানেই সীমাবদ্ধ থাকবে না,বরং সে জানবে যে,তার এই শ্রমের ফলাফল কী? যদি দেখা যায় তার আদরের সন্তান জাগতিক জ্ঞানে যথেষ্ট পারদর্শী। কিন্তু সে তার প্রভু মহান আল্লাহকে জানতে পারে নি,শেষ নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে চেনে নি,নিজ ধর্ম ইসলামের মৌলিক বিধান সমূহের শিক্ষা নেয়নি,তাহলে একজন মুসলিম অভিভাবক ও ছাত্রের ক্ষেত্রে এটা বড়ই পরিতাপের বিষয়! কিন্তু তিক্ত সত্য হচ্ছে,এই রকম অভিভাবক ও ছাত্রের সংখ্যাই আসলে বেশি। এই ভাবে ক্রমে ক্রমে আমরা মুসলিমরা ইসলাম থেকে দূরে সরে যাচ্ছি এবং আমরা আমাদের সন্তানদের আল্লাহর মনোনীত ধর্ম ইসলাম থেকে জেনে বুঝে দূরে সরিয়ে দিচ্ছি। বক্ষ্যমান বইটি একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস সেই সমস্ত অভিভাবক ও ছাত্রদের উদ্দেশ্যে যারা জাগতিক জ্ঞানের সাথে সাথে ইসলামের মূল বিধান তাওহীদ,(এক আল্লাহর ইবাদত) আক্বীদা,(ধর্ম বিশ্বাস) এবং আমলের জ্ঞান লাভ করতে ইচ্ছুক। ইসলামী বইয়ের নামে বাজারে হয়তো অনেক বই পাওয়া যেতে পারে কিন্তু তাওহীদ ও ইসলামী আদব একসঙ্গে রচিত আমার জানা মতে এটিই প্রথম পাঠ্যপুস্তক। বইটি পাঠ্যপুস্তকের নিয়মে রচিত। আমি মনে করি এটা ক্লাস ফোর কিংবা ক্লাস ফাইভের জন্য প্রযোজ্য। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান হিসাবে ক্লাসের পরিবর্তনে আশা করি কোন বাধা হবে না। অনুরূপ বইটি বাড়িতেও প্রাইভেট পাঠ হিসাবে পঠন-পাঠন করা যেতে পারে। আল্লাহ তা’আলা বইটার মাধ্যমে আমাদের আগামী প্রজন্মের সন্তানদের উপকৃত করুন।