মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল ওয়াহাব রহিমাহুল্লাহর রচিত বিখ্যাত একটি কিতাব “তিনটি মুলনীতি”। কিতাবটির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এখন পর্যন্ত একদল বিখ্যাত আলেমদের কাছে বিশেষ মর্যাদার স্থান পেয়েছে। তাইতো কিতাবটির উপরে এক দল আলেম বিষধ গবেষণা চালিয়েছেন। মুসলিম উম্মাহর কল্যাণের জন্য ও বইটির সুন্দর্য, মহত্ত্ব বৃদ্ধির জন্য তারা ব্যাখ্যা ও টিকা টিপ্পনী সংযোজন করেছেন। আরবীয়দের কাছে বইটি গুরুত্ব অনেক। আরবীয় দেশ গুলোতে বইটি প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের সর্বপ্রথম পাঠদান করা হয় এর পরে অন্য বই। এছাড়াও আমাদের দেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন অনলাইন অফলাইন ক্লাস গুলোতেও নিয়মিত পাঠদান করা হয়। বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসা গুলোতেও সর্ব সাধারণের জন্য দার্সের ব্যবস্থা করা আছে।
দ্বীনের বিষয়ে “তিনটি মুলনীতি” প্রত্যেকের জানা আবশ্যক। এবং এই তিনটি মুলনীতির মধ্যে আছে কল্যাণ যা বান্দার সুদূরপ্রসারীত জীবনে প্রশান্তি অর্জনের মাধ্যম। তিনটি মুলনীতি ” জ্ঞান অর্জনের সর্বত্তম ধারা। তিনটি মুলনীতির উপরেই দ্বীন সুবিন্যস্ত।এবং ব্যাক্তি আকিদাহ বিশুদ্ধ করনের মাধ্যমে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন।
তিনটি মুলনীতি –
১. বান্দা তার প্রভুর সম্পর্কে জানবে
২. দলীল প্রমাণসহ দ্বীন ইসলামকে জানবে।
৩. নাবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে জনবে।
তিনটি মুলনীতি ” থেকে আমাদের ব্যাক্তি জীবনে অনেক শিক্ষনীয় বিষয় রয়েছে। তিনটি মুলনীতি বুঝে আমলের মাধ্যমে মহান আল্লাহর সন্তুষ্ট অর্জন করা সম্ভব।
সবরকম পাঠকদের সুবিশার উপকারী দিক ও বোঝার সুবিধার্থে আমরা বইটির উত্তম ব্যাখ্যা প্রকাশের ইচ্ছায় মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। মহান আল্লাহ যেন এই বইটি মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ ও বিশুদ্ধ দ্বীনকে বোঝার সহজ মাধ্যম হিসেবে কবুল করেন।….আমিন….।