আমাদের মহানবী (সা)-ও বহু বিষয়ে সুমহান প্রতিপালকের পানাহ চেয়েছেন। বহু বিষয়ে উম্মতকে পানাহ চাইতে নির্দেশ দিয়েছেন।
অনেক সময় তিনি এমন জিনিস থেকে পানাহ চেয়েছেন, যা তাঁর ব্যাপারে সে জিনিসের ক্ষতির সম্ভাবনাই নেই। সে ক্ষেত্রে জানতে হবে যে, যে কর্ম থেকে তিনি পানাহ চেয়েছেন, সে কর্ম যদি তাঁর জন্য অসম্ভব হয়, তাহলেজানতে হবে, তা সুমহান প্রতিপালকের নিকট মুখাপেক্ষিতা ও বিনয় প্রকাশ করা অথবা তার মাধ্যমে উম্মতকে তালীম দেওয়া।
মহানবী (স) যে সকল বিষয় ও বস্তু থেকে ‘আল্লাহর পানাহ’ চেয়েছেন, সেই সকল বিষয়-বস্তু উল্লেখ ক’রে অবিশদ ব্যাখ্যা-সহ এ পুস্তকে সঞ্চিত করা হয়েছে। এতে দেখতে পাবেন, পৃথক পৃথক বিষয় এবং তার থেকে পানাহ চাওয়ার দুআ। তার গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য বুঝে আপনি এক একটি দুআ মুখস্থ ক’রে নিজ মুনাজাতে পড়তে পারবেন।
তবুও আরো সংক্ষেপে যদি সকল বিষয়-বস্তু থেকে একটি দুআর মাধ্যমে পানাহ চাইতে চান, যে সকল বিষয়-বস্তু থেকে মহানবী (স) পানাহ চাইতেন, তাহলে সেই দুআ মুখস্থ করুন, যা তিনি আয়েশা (রা) কে শিখিয়ে দিয়েছিলেন। (আহমাদ ২৫১৩৭, ইবনে মাজাহ ৩৮৪৬, ইবনে হিব্বান ৮৬৯, আবূ য়্যা’লা ৪৪৭৩, সি: সহীহাহ ১৫৪২নং)
দুআর মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে প্রত্যেক বিষয়ের সাথে দুআর লিংক উল্লেখ করা হয়েছে। যাতে পাঠকের নিজ চাহিদার দুআ সহজে বেছে নিতে পারেন। নানান পাপ ও ধোঁকার মধ্যে ঈমানের হেফাজতের একমাত্র আশ্রয়স্থল আল্লাহ্ তা’আলা। আর আল্লাহ্ তা’আলার পানাহ পেতে পড়ুন!