Product Specification & Summary


ইতিহাস জাতির স্মৃতিশক্তি। শত্রুরা আমাদের ইতিহাস মুছে ফেলতে সদা তৎপর, যেন আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি আমাদের অতীত গৌরব ও ঐতিহ্য থেকে। আর তারাও প্রমাণ করতে পারেÑআমরা এমন জাতি, যাদের কোনো গৌরবময় ইতিহাস নেই, নেই স্বর্ণালি ঐতিহ্যও। তারা তত্ত্ব হাজির করে—ইসলামের বাস্তব অনুশীলন হয়েছিল কেবল খিলাফতে রাশেদার যুগে। বিশেষত উমরের আমলে। এরপর আর ইসলাম রাষ্ট্রীয়ভাবে কোথাও কার্যকর ছিল না। পরবর্তী রাষ্ট্রনায়করা খিলাফতের মসনদে আসীন হয়েছিলেন অন্যায়ভাবে। ইসলামি শরিয়াহর সাথে তাঁদের রাষ্ট্রপরিচালনার ছিল না কোনো সম্পর্ক। এ কারণেই তারা উমাইয়া, আব্বাসি ও তৎপরবর্তী শাসনামলকে ‘আরব শাসন’ বলে আখ্যায়িত করে! একে ইসলামি শাসনামল বলতে তারা যারপরনাই নারাজ। আমাদের ইতিহাস ও সভ্যতা নিয়ে পশ্চিমাদের এমন অভিযোগ ও অপবাদের সমুচিত জবাব ড. ইউসুফ আল কারজাভি (রহ.)-এর ইতিহাসের অপবাদ; অপবাদের ইতিহাস।
Title ইতিহাসের অপবাদ : অপবাদের ইতিহাস
Author ড. ইউসুফ আল কারযাভী
Publisher গার্ডিয়ান পাবলিকেশনস
ISBN 9789849675457
Edition 1 st edition
Number of Pages 368
Country Bangladesh
Language Bengali
Weight 450 Gram
Dimension 21cm x 15cm x 1cm

ড. ইউসুফ আল কারযাভী


শায়খ প্রফেসর ড. ইউসুফ আবদুল্লাহ আল কারযাভি (১৯২৬-) মিশরীয় বংশোদ্ভূত একজন প্রভাবশালী আধুনিক ইসলামি তাত্ত্বিক ও আইনজ্ঞ। তিনি মুসলিম ধর্মতত্ত্বিকদের অভিজাত সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলার্সে (International Union of Muslim scholars)-এর সাবেক চেয়ারম্যান। জন্ম ১৯২৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। মিসরের উত্তর নীলনদের তীরবর্তী সাফাত তোরাব গ্রামে। দুই বছর বয়সে বাবা ইন্তিকাল করলে চাচা তার লালন-পালন করেন। দশ বছর বয়সে তিনি সম্পূর্ণ কোরআন হিফজ করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা করেন আল-আজহার কারিকুলামে। প্রাচীন ইসলামী বিদ্যাপীঠ আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উসুলুদ দ্বীন অনুষদ থেকে অনার্স, আরবি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। মিসরের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘Institute of Imams’ এর পরিদর্শক হিসেবে কর্মজীবনে পদার্পণ করেন। কিছুদিন তিনি আওকাফ মন্ত্রণালয়ের ‘Board of Religious Affairs’ এ কর্মরত ছিলেন। ১৯৭৭ সালে তিনি কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শরীয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের প্রতিষ্ঠাকালীন ডীন নিযুক্ত হন। ১৯৯০ পর্যন্ত তিনি এখানে কর্মরত থাকেন এবং একই বছর তাঁর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘সীরাত ও সুন্নাহ গবেষণা কেন্দ্র’। ১৯৯০-৯১ সালে আলজেরিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের Scientific Council এর চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯২ সালে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সীরাত ও সুন্নাহ গবেষণা কেন্দ্রের ডিরেক্টর হিসেবে পুনরায় কাতার ফিরে আসেন। তিনি জর্ডানের রয়্যাল অ্যাকাডেমি ফর ইসলামিক কালচারাল অ্যান্ড রিচার্জ (Royal academy for Islamic culture and research), ইসলামি সম্মেলন সংস্থা (OIC), রাবেতা আল-আলম আল-ইসলামি এবং ইসলামিক স্টাডিজ সেন্টার, অক্সফোর্ড এর সম্মানিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৪১১ হিজরিতে ইসলামী অর্থনীতিতে অবদান রাখায় ব্যাংক ফয়সল পুরষ্কার লাভ করেন। ইসলামি শিক্ষায় অবদানের জন্য ১৪১৩ হিজরিতে মুসলিম বিশ্বের নোবেল খ্যাত কিং ফয়সাল অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন । ১৯৯৭ সালে ব্রুনাই সরকার তাকে ‘হাসান বাকলি’ পুরষ্কারে ভূষিত করে।


Related Products


29%

বাংলা সা‌হি‌ত্যে অন্ধকার যুগ: মিথ বনাম বাস্তবতা

মুসা আল হাফিজ

130     185

30%

মুসলিম জাতির ইতিহাস (একত্রে)

ড. সুহাইল তাক্কুশ

840     1200

30%

ইসলামি জ্ঞানচর্চার ইতিহাস

মাওলানা কাজি আতহার মুবারকপুরী

420     600

30%

ইসলামের ইতিহাস নববী যুগ থেকে বর্তমান

ড. মুহাম্মাদ ইবরাহিম আশ-শারিকি

350     500








© SUSHIKKHA.IN




× সকল বই ডিসকাউন্ট বই রিকোয়েস্ট