Product Specification & Summary


“বুখারী শরীফ ১ম খণ্ড” বইটির ভূমিকাঃ যাবতীয় প্রশংসা বিশ্বজাহানের প্রতিপালক আল্লাহ্ তাআলার জন্য। সালাত ও সালাম তাঁর প্রিয় নবী হাবীব মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর উপর। হাদীস শরীফ মুসলিম মিল্লাতের এক অমূল্য সম্পদ, ইসলামী শরীআতের অন্যতম অপরিহার্য উৎস এবং ইসলামী জীবন বিধানের অন্যতম মূল ভিত্তি। কুরআন মজীদ যেখানে ইসলামী জীবন ব্যবস্থার মৌলনীতি পেশ করে, হাদীস সেখানে এ মৌল নীতির বিস্তারিত বিশ্লেষণ ও তা বাস্তবায়নের কার্যকর পন্থা বলে দেয়। কুরআন ইসলামের আলােকস্তম্ভ, হাদীস তার বিচ্ছুরিত আলাে। ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞানে কুরআন যেন হৃৎপিণ্ড, আর হাদীস এ হৃৎপিণ্ডের সাথে সংযুক্ত ধমনী। জ্ঞানের বিশাল ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত তাজা তপ্ত শােণিতধারা প্রবাহিত করে এর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে অব্যাহতভাবে সতেজ ও সক্রিয় রাখে। হাদীস একদিকে যেমন কুরআনুল আযীমের নির্ভুল ব্যাখ্যা দান করে, অনুরূপভাবে তা পেশ করে কুরআনের ধারক ও বাহক নবী করীম (সা)এর পবিত্র জীবনচরিত, কর্মনীতি ও আদর্শ এবং তাঁর কথা ও কাজ, হিদায়াত ও উপদেশের বিস্তারিত বিবরণ। এজন্যই ইসলামী জীবন বিধানে কুরআনে হাকীমের পরপরই হাদীসের স্থান। আল্লাহ্ তাআলা জিবরাঈল আমীনের মাধ্যমে নবী করীম (সা)-এর উপর যে ওহী নাযিল করেছেন, তা হলে হাদীসের মূল উৎস। ওহী-এর শাব্দিক অর্থ ইশারা করা, গােপনে অপরের সাথে কথা বলা। ওহী দু প্র কার। প্রথম প্রকার প্রত্যক্ষ ওহী (15 ) যার নাম “কিতাবুল্লাহ’ বা আল-কুরআন। এর ভাব, ভাষা উভয়ই মহান আল্লাহর। রাসূলুল্লাহ্ (সা) তা হুবহু প্রকাশ করেছেন। দ্বিতীয় প্রকার পরােক্ষ ওহী এর নাম ‘সুন্নাহ’ বা ‘আল-হাদীস। এর ভাব আল্লাহর, তবে নবী (সা) তা নিজের য়, নিজের কথায় এবং নিজের কাজ ও সম্মতির মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। প্রথম প্রকারের ওহী রাসূলুল্লাহ (সা)-এর উপর সরাসরি নাযিল হত এবং তাঁর কাছে উপস্থিত লােকজন তা উপলব্ধি করতে পারত। কিন্তু দ্বিতীয় প্রকারের ওহী তার উপর প্রচ্ছন্নভাবে নাযিল হত এবং অন্যরা তা উপলব্ধি করতে পারত না। আখেরী নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সা) কুরআনের ধারক ও বাহক, কুরআন তাঁর উপরই নাযিল হয়। আল্লাহ তাআলা তাঁর কিতাবে মানব জাতিকে একটি আদর্শ অনুসরণের ও অনেক বিধি-বিধান পালনের নির্দেশ দিয়েছেন, কিন্তু তার বিস্তারিত বিবরণ দান করেন নি। এর ভার ন্যস্ত করেছেন রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর উপর। তিনি নিজের কথা-কাজ ও আচার-আচরণের মাধ্যমে কুরআনের আদর্শ ও বিধান বাস্তবায়নের পন্থা সূচীপত্রঃ * ওহীর সূচনা অধ্যায় রাসূলুল্লাহ (সা)-এর প্রতি কিভাবে ওহী শুরু হয়েছিল। * ঈমান অধ্যায়ঃ রাসূলুল্লাহ (সা)-এর বাণী ও ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি * ঈমানের বিষয়সমূহ : প্রকৃত মুসলিম সে-ই, যার জিহবা ও হাত থেকে অন্য মুসলিম নিরাপদ থাকে * ইসলামে কোন্ কাজটি উত্তম * খাবার খাওয়ানাে ইসলামী গুণ। * নিজের জন্য যা পসন্দনীয়, ভাইয়ের জন্যও তা পসন্দ করা ঈমানের অংশ। * রাসূলুল্লাহ (সা)-কে ভালবাসা ঈমানের অংশ * ঈমানের স্বাদ * আনসারকে ভালবাসা ঈমানের লক্ষণ * ফিতনা থেকে পলায়ন দীনের অংশ। * নবী করীম (সা)-এর বাণীঃ “আমি তােমাদের তুলনায় আল্লাহ পাক সম্পর্কে অধিক জ্ঞানী * কুফরীতে ফিরে যাওয়াকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হবার ন্যায় অপসন্দ করা ঈমানের অংগ। * আমলের দিক থেকে ঈমানদারদের শ্রেষ্ঠত্বের স্তরভেদ * লজ্জা ঈমানের অংগ * যারা তওবা করে, সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয় * যে বলে, ঈমান আমলেরই নাম * ইসলাম গ্রহণ যদি খাটি না হয় * সালামের প্রচলন করা ইসলামের অন্তর্ভুক্ত * স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞতা : * পাপ কাজ জাহিলী যুগের স্বভাব * যুলুমের প্রকারভেদ
Title বুখারী শরীফ ১ম - ১০ম খণ্ড একত্রে
Author ইমাম মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল বোখারী (র)
Publisher ইসলামিক ফাউন্ডেশন
Edition New edition
Number of Pages 2200
Country Bangladesh
Language Bengali, Arabic
Weight 6000 Gram
Dimension 24cm x 18cm x 18cm

ইমাম মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল বোখারী (র)


মুহাদ্দিস শব্দের আভিধানিক অর্থ হাদিসবেত্তা। বলা হয়ে থাকে সকল মুহাদ্দিসের শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ছিলেন মুহাম্মদ বিন ইসমাইল বিন ইবরাহীম বিন মুগীরাহ বিন বারদিযবাহ। ১৯৪ হিজরী, ১৩ই শাওয়াল শুক্রবার খোরসানের বোখারাতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ইমাম মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল বোখারী (র) এর বই সমূহ এর জন্যই তিনি স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। মুসলিম জগতে ইমাম বোখারী নামে অধিক পরিচিত তিনি। তাঁর পিতা ইসমাইল ইবনে ইব্রাহিম মুসলিম জগতের আরেক পরিচিত ব্যক্তিত্ব, যার ওঠা-বসা ছিলো হাদিসবীদ আল্লামা হাম্মাদ (রহঃ) এবং হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক (রহঃ) এর। অঢেল ধন-সম্পত্তির মালিকও ছিলেন তিনি। তাই খুবই অল্প বয়সে ইমাম বোখারী পিতাহারা হলেও কোনো সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি। এর আরেক কারণ তাঁর মা। তাঁর মা ছিলেন এক বিদূষী ও পরহেজগার নারী। পুত্রকে তিনি সঠিক শিক্ষাটাই দিয়েছিলেন। তাই মাত্র ৬ বছর বয়সে বোখারী (রঃ) কোরআনের হাফিজ হন এবং এরপর হাদিস শিক্ষায় মনোনিবেশ করেন। ষোল বছর বয়সে হজ্জে গমন করে মক্কায় থেকে যান দক্ষ হাদিসবীদদের থেকে হাদিসের জ্ঞান নিতে। হাদিস সংগ্রহের আশায় ইরাক, সিরিয়া, মিশর, মদিনাসহ বহু অঞ্চলে ভ্রমণের পর ষোল বছর পর আবার বোখারায় ফেরত যান। ব্যক্তি হিসেবে তিনি ছিলেন দানশীল। তাঁর স্মৃতিশক্তি ছিলো প্রখর। ফলে হাদিস শুনেই মনে রাখতে পারতেন। বলা হয়ে থাকে, তিনি ছয় লক্ষ হাদিস মুখস্থ বলতে পারতেন, ক্ষুদ্র ত্রুটিও তার নজর এড়াতো না। ইমাম মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল বোখারী (র) এর বই সমগ্র বলতে আমরা বুঝি বুখারী শরীফ, যাতে স্থান পেয়েছে ইমাম বোখারী (রঃ) দ্বারা সংগ্রহকৃত সহীহ হাদিস। তার সংকলিত গ্রন্থের সংখ্যা ২০টিরও বেশি। শেষ বয়সে তিনি নিজ বাসভূম থেকে বিতাড়িত হন এবং সমরকন্দের খরতঙ্গ নামক স্থানে চলে আসেন। এ অঞ্চলেই তিনি ২৫৬ হিজরীর, ১লা শাওয়াল ইন্তেকাল করেন।


Related Products


40%

হাদীসের নামে জালিয়াতি

ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর

324     540

29%

হাদীস কেন মানতে হবে?

কামাল আহমাদ

83     118

45%

তাহক্কীক্ক বুলুগুল মারাম মিন আদিল্লাতিল আহকাম

ইমাম ইবন হাজার আসকালানি

380     700

40%

আয়েশা রা. -এর বর্ণিত ৫০০ হাদীস

মুয়াল্লীমা মোরশেদা বেগম

240     400








© SUSHIKKHA.IN




× সকল বই ডিসকাউন্ট বই রিকোয়েস্ট