তাছফিয়াহ ও তারবিয়াহ মুসলিম জীবনে এর প্রয়োজনীয়তা

মূল : আল্লামা মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন আলবানী (রহঃ)
অনুবাদক : মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক

Publisher: হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

Page - | stock - 0 | পেপার ব্যাক


0 Review

20   16 (You Save ₹4)

বর্তমানে এই বইটির মুদ্রিত কপি আমাদের কাছে নেই । বইটি আমাদের কাছে এভেইলেবল হলে what's app / E-mail এর মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে রিকুয়েস্ট ফর স্টক (Notify Me) এ ক্লিক করুন।

Product Specification & Summary


এক সময় মুসলিম উম্মাহ দোর্দন্ড প্রতাপে সমগ্র পৃথিবী শাসন করেছিল। শৌর্য-বীর্যে তারা ছিল খ্যাতির শীর্ষে। অতঃপর মৌলিকভাবে তিনটি কারণে মুসলমানরা পতনের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়। (১) তাওহীদী আক্বীদা দুর্বলকারী বিভিন্ন অনৈসলামী দর্শনের অনুপ্রবেশ। (২) ঈমান ও আমলের মধ্যে ঐক্যতান শিথিল হওয়া। (৩) জাহেলিয়াতের সঙ্গে আপোষকামিতা। দুনিয়ার মোহে পড়ে তারা পরস্পর বিবাদ-বিসম্বাদে লিপ্ত হ’ল। ফলে মুসলিম জাতির প্রভাব-প্রতিপত্তির সুদৃঢ় দেয়ালে ফাটল সৃষ্টি হ’ল। শত্রুরা তাদের ঘাড়ে চেপে বসে ছড়ি ঘুরাতে লাগল। লাঞ্ছনা ও দুর্গতি যেন তাদের ললাট লিখনে পরিণত হ’ল। এ অবস্থা এখনও অব্যাহত আছে। আজ পৃথিবীর সর্বত্র মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছে। যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ শায়খ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (১৯১৪-১৯৯৯) মুসলমানদের এ দুর্দশা ও দুর্গতির হাদীছভিত্তিক কারণ অনুসন্ধানে ব্যাপৃত হন। তিনি আবূদাঊদ-এর ৩৪৬২ নং হাদীছের আলোকে মুসলমানদের পতনের দু’টি মৌলিক কারণ চিহ্নিত করেন। ১. বিভিন্ন কৌশলে সূদ সহ নানাবিধ হারাম লেনদেনে জড়িয়ে পড়া। ২. দুনিয়ার মোহে বিভোর হয়ে পরকালকে ভুলে যাওয়া। এর চিকিৎসা হ’ল التصفية (পরিশুদ্ধিতা) ও الةربية (পরিচর্যা)-এর মাধ্যমে দ্বীনের দিকে প্রত্যাবর্তন করা। শুধু কথার ফুলঝুরিতে নয়; বরং আক্বীদা ও আমলের সংশোধনের মাধ্যমে প্রকৃত অর্থে দ্বীনের দিকে ফিরে আসা। আর দ্বীনের দিকে প্রত্যাবর্তন অর্থই হল কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহর দিকে প্রত্যাবর্তন। সুতরাং আমরা যদি আমাদের তরুণ প্রজন্মকে কুরআন ও সুন্নাহ নির্ভর ছহীহ আক্বীদার উপর গড়ে তুলতে পারি তাহ’লে মুসলিম উম্মাহ তার পতন দশা থেকে মুক্তি লাভ করে অতীতের সেই সোনালী ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করতে পারবে ইনশাআল্লাহ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোন জাতির অবস্থার পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের অবস্থা নিজেরা পরিবর্তন করে’ (রা‘দ ১৩/১১)। সেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য সাধনের জন্য ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’ বইটি অনুবাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং জনাব আব্দুল মালেক (ঝিনাইদহ)-কে সেটি অনুবাদের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তিনি সাবলীলভাবে বইটি অনুবাদ করে আমাদের কৃতজ্ঞতাভাজন হয়েছেন। বইটি প্রথমত মাসিক ‘আত-তাহরী’কে দুই কিস্তিতে (ডিসেম্বর’১৯-জানুয়ারী’২০) প্রকাশিত হয়। এক্ষণে এর গুরুত্ব ও আবেদন বিবেচনায় সেটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। বইটি ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন’ গবেষণা বিভাগ কর্তৃক সম্পাদিত ও পরিমার্জিত হয়েছে। এটি সুখপাঠ্য হিসাবে পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। উক্ত গ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে যদি একজন পাঠকের মনেও নবজাগৃতির স্পৃহা সৃষ্টি হয় এবং কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহকে অাঁকড়ে ধরার মানসিকতা তৈরী হয় তবেই আমাদের শ্রম সার্থক হবে। আল্লাহ আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাটুকু কবুল করুন এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে উত্তম জাযা প্রদান করুন- আমীন!!
Title তাছফিয়াহ ও তারবিয়াহ মুসলিম জীবনে এর প্রয়োজনীয়তা
Author আল্লামা মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন আলবানী (রহঃ)
Publisher হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
Edition
Number of Pages
Country Bangladesh
Language
Weight 20 Gram
Dimension 21cm x 15cm x cm

আল্লামা মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন আলবানী (রহঃ)


আল্লামা মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) আধুনিক যুগের একজন স্বনামধন্য আলেম। তাঁর জন্ম ইউরোপের মুসলিম অধ্যুষিত দেশ আলবেনিয়ায়। ১৯১৪ সালে আলবেনিয়ার রাজধানী স্কোডারে (বর্তমান নাম তিরানা) তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন আলবেনিয়ার একজন বিজ্ঞ আলেম। পারিবারিক অসচ্ছলতা থাকা সত্ত্বেও দ্বীনদারী ও জ্ঞানার্জনে তাঁরা ছিলেন সুখ্যাতিসম্পন্ন ও সমৃদ্ধ। আলবেনিয়ায় নারীদের পর্দা নিষিদ্ধ করার পর নাসিরুদ্দীন আলবানীর পরিবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে চলে আসেন। দামেস্কে ‘স্কুল অব এইড চ্যারিটি’ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষাপর্ব শেষ হয়। এরপর প্রচলিত শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে তাঁর পিতা তাকে স্বতন্ত্র পাঠ্যসূচী তৈরি করে দেন। তাঁর তত্ত্বাবধানেই তিনি আল-কুরানুল কারীম, নাহূ, সরফ, তাজবীদ এবং হানাফী ফিকাহ ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে থাকেন ও একইসাথে কোরআনের হিফযও সমাপ্ত করেন। ইসলামী শাস্ত্রে সুপন্ডিত এই আলেম ঘড়ি মেরামতের কাজকে পেশা হিসেবে নেন। এর অন্যতম কারণ ছিল জ্ঞানার্জন ও গবেষণার জন্য কিছু সময় বের করে নেওয়া। নাসীরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) এর জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো সিরিয়ায় তাওহীদ ও সুন্নাহর দিকে দাওয়াত এবং এর পরবর্তী ঘটনাদি। এই কারণে অনেকেই তাঁর বিরুদ্ধাচরণ করে এবং তাকে বিভিন্ন প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়। তবে তাঁর এই মতবাদের সাথে দামেস্কের প্রসিদ্ধ আলেমগণ ঐকমত্য পোষণ করায় তিনি এগিয়ে যেতে উৎসাহ পান। শাইখ আলবানী দামেস্ক, মিশর ও সিরিয়ার বিখ্যাত সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার প্রস্তাব পান। তবে গবেষণার কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে তিনি যোগ দেননি। তিনি মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য হিসেবেও মনোনীত হন। আল্লামা মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) এর বই সমগ্র, গবেষণাপত্র ও বক্তব্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রকাশিত হয়েছে এবং ইসলামী চিন্তাবিদ ও আলেমদের কাছে সমাদর লাভ করেছে। তিনি কুয়েত, আরব আমিরাত ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে বক্তা হিসেবে ভ্রমণ করেছেন। আল্লামা মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) এর বই সমূহ হলো ‘আত-তারঘিব ওয়া আত-তারহিব (চার খণ্ড)’, ‘আত-তাসফিয়াহ ওয়া আত-তারবিয়াহ’,’সহীহ ওয়া যাই’ফ সুনান আত-তিরমিযী (চার খণ্ড)’ ইত্যাদি। তাঁর রচিত বইয়ের সংখ্যা এক শতাধিক। হাদীস ও ফিকহ শাস্ত্রে পারদর্শী এই আলেম ১৯৯৯ সালে বাদশাহ ফয়সাল পুরষ্কারে ভূষিত হন। একই বছর জর্ডানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।


Related Products


40%

রাহে বেলায়াত

ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর

330     550

40%

হাদীসের নামে জালিয়াতি

ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর

324     540

40%

এহ্ইয়াউস সুনান

ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর

324     540

40%

ফুরফুরার পীর আবু জাফর সিদ্দিকী রচিত আল-মাউযুয়াত

ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর

204     340








© SUSHIKKHA.IN




× সকল বই ডিসকাউন্ট বই রিকোয়েস্ট