১৯৮০ সালের ৫ ও ৬ই এপ্রিল ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র ১ম জাতীয় সম্মেলন ও ইসলামী সেমিনার-এর প্রথম দিন ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তন, ঢাকায় ‘তাওহীদের শিক্ষা ও আজকের সমাজ’ শীর্ষক ইসলামী সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন, সে সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য এম.এ পাশ করা ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভাইস চ্যান্সেলর ও বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলেহাদীসের সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুল বারী (১৯৩০-২০০৩ খৃ.)-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন, ‘স্পষ্টভাষী’ নামে পরিচিত দৈনিক ইত্তেফাকের প্রসিদ্ধ কলাম লেখক ও বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় যুব উন্নয়ন মন্ত্রী খন্দকার আব্দুল হামিদ (১৯১৮-১৯৮৩)। তবে শেষ মুহূর্তে তিনি আসতে পারেননি। দু’জন বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাবেক প্রধান ও প্রফেসর এমেরিটাস ডঃ সিরাজুল হক (১৯০৫-২০০৫) এবং বাংলাদেশে প্রথম সঊদী রাষ্ট্রদূত ফুওয়াদ আব্দুল হামীদ আল-খত্বীব (১৯২৫-১৯৯৫)। এতদ্ব্যতীত উপস্থিত ছিলেন দেশের বিশিষ্ট আহলেহাদীছ ওলামায়ে কেরাম এবং রাজধানীসহ বিভিন্ন যেলা থেকে আগত ‘আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র নেতা-কর্মী ও সুধীবৃন্দ।
প্রবন্ধটি পাঠের সময় বিশেষ অতিথি সঊদী রাষ্ট্রদূত ফুওয়াদ আব্দুল হামীদ আল-খতীব চেয়ার ছেড়ে দু’বার উঠে এসে লেখক তথা পাঠকের পিঠ চাপড়ে উৎসাহ দেন। অতঃপর স্বীয় ভাষণে লেখকের ভূয়সী প্রশংসা করেন। একইভাবে প্রশংসা করেন অন্যতম বিশেষ অতিথি প্রফেসর ডঃ সিরাজুল হক। তিনি তাঁর ভাষণের এক পর্যায়ে বলেন, জীবনে বহু সেমিনারে গিয়েছি। সব জায়গায় হাততালি পেয়েছি। কিন্তু আজই ব্যতিক্রম দেখলাম। যেখানে কোন হাততালি নেই। আছে কেবলই আলহামদুলিল্লাহ, সুবহানাল্লাহ ও আল্লাহু আকবর। আমি ‘আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র সংস্কারধর্মী আন্দোলনের সার্বিক অগ্রগতি কামনা করি।
সেমিনারে উপস্থিত দৈনিক আজাদ-এর সহকারী সম্পাদক মাওলানা মুন্তাছির আহমাদ রহমানী (১৯২৩-১৯৮৯ খৃ.) বলেন, নিবন্ধটি ইংরেজী-উর্দূ-আরবী বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া হৌক! তিনি প্রবন্ধটি নিয়ে যান ও পরের দিন থেকে কয়েক কিস্তিতে দৈনিক আজাদ পত্রিকায় প্রকাশ করেন। আল্লাহ তাঁদের সবাইকে উত্তম জাযা দান করুন- আমীন!
প্রবন্ধটি মাননীয় লেখকের একটি হারানো সম্পদ। যা বহুদিন পরে হঠাৎ ফাইলসমূহের মধ্যে পাওয়া যায়। হস্তলিখিত উক্ত পান্ডুলিপিটি প্রকাশ করার জন্য হাফাবা-কে হস্তান্তর করায় আমরা তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।
পরিশেষে এ উপলক্ষ্যে ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’-এর গবেষণা বিভাগের সংশ্লিষ্ট ও সহযোগী সকলকে আন্তরিক মুবারকবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে বইটি সম্মানিত লেখকের ও তাঁর মরহূম পিতা-মাতা ও পরিবারবর্গের পরকালীন নাজাতের অসীলা হৌক, এই প্রার্থনা করছি- আমীন!